তুমি কী মনে কর কৃষি প্রযুক্তিগুলাে ব্যবহার করে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন সম্ভব
প্রিয় শিক্ষার্থী, আপনি যদি ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১৪তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট কৃষি শিক্ষা এর সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে চান, তাহলে আমাদের এই পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করা যায়, কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন আমাদের এখান থেকে। অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম- তুমি কী মনে কর কৃষি প্রযুক্তিগুলাে ব্যবহার করে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন সম্ভব?
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণয়নকৃত ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যসূচির আলােকে নির্ধারিত গ্রিড অনুযায়ী ১৪তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
৬ষ্ঠ শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:
বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়তি মানুষের খাদ্য চাহিদাপূরণের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। বদরপুর গ্রামের কৃষি সমাবেশে কৃষিবিদ ড. হাসান ফসল উৎপাদন, গৃহপালিত প্রাণী পালন, মৎস্য চাষ ও বনায়নের উপর নানা ধরনের কৃষি প্রযুক্তির ধারণা ব্যক্ত করেন। তুমি কী মনে কর কৃষি প্রযুক্তিগুলাে ব্যবহার করে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন সম্ভব?
নিচের প্রশ্নগুলাের উত্তরের মাধ্যমে তােমার মতামত উপস্থাপন করঃ-
১। কৃষি প্রযুক্তি কী?
২। কৃষি প্রযুক্তির বিষয়গুলাে কী কী?
৩। বিষয়ভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তিগুলাের তালিকা তৈরি কর।
৪। জমি চাষ না করে কীভাবে তুমি দানা জাতীয় ফসল চাষ করবে?
৫। বিদ্যুৎবিহীন গ্রামীণ পরিবেশে একজন কৃষক কীভাবে ডিম সংরক্ষণ করবে?
৬। বন্যা মৌসুমে হাওর এলাকায় তুমি কোন প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করবে এবং কেন?
৭। তুমি গবাদি পশুর একটি ফার্ম করতে চাইলে শীত মৌসুমে পশুগুলাের জন্য কীভাবে কাঁচাঘাসের অভাব পুরণ করবে?
নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি) :
- ১. শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় অধ্যায়ের পাঠ ১, ২,৭ ও ৮ এর আলােকে কৃষি প্রযুক্তিগুলাে শনাক্ত করবে এবং এগুলাে সম্পর্কে ধারণা নিবে।
- ২. শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় তথ্য। সংগ্রহের চেষ্টা করবে।
- ৩. শিক্ষার্থীরা নিজ পরিবারের সদস্যদের সাথে আলােচনা করে কৃষি প্রযুক্তিগুলাে সম্পর্কে জানবে।
- ৪. নিজ বাড়িতে বিদ্যমান। প্রযুক্তিগুলাের ব্যবহার উপযােগিতা সম্পর্কে জানবে।
- ৫. কোনাে তথ্য উৎস থেকে অবিকল (হুবহু) কোনাে তথ্য লিখে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়া যাবে না।
- ৬. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে।
- ৭. শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে।
- ৮. শিক্ষার্থীদেরকে তাদের পিতামাতা, ভাইবােন, আত্মীয়স্বজন, শিক্ষকগণ লিখে দিলে তা বাতিল হবে।
- ৯. যে কোনাে কাগজ ব্যবহার করা যাবে।
- ১০. ১ম পৃষ্ঠায় নাম, শ্রেণি, রােল, বিষয়, অ্যাসাইনমেন্টের শিরােনাম স্পষ্টভাবে লিখতে হবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
১. কৃষি প্রযুক্তি
কৃষি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও কলাকৌশলকে কৃষি প্রযুক্তি বলা হয়। পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা আরও বেশি হারে বাড়ছে। বাড়তি মানুষের জন্য বাড়তি খাবার দরকার। আবার অন্যান্য কৃষিপণ্যেরও বেশি দরকার। এই বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য সব সময় মানুষ চিন্তা-ভাবনা করে আসছে। ফলে যুগে যুগে চাষাবাদের জন্য মানুষ বুদ্ধি খাটিয়ে উদ্ভাবন করছে নতুন নতুন কৌশল বা প্রযুক্তি। তা হলে প্রযুক্তি কী?
যখন মানুষ কৃষিকাজ শেখেনি তখন তারা পশু-পাখি শিকার করে মাংস খেত। বনজঙ্গল থেকে ফল-মূল কুড়িয়ে খেত। এক সময় তারা দেখল পশু-পাখি শিকার করে ও কুড়ানো ফল, মূলে তাদের ক্ষুধা মেটে না। তারা সমস্যায় পড়ে গেল। হঠাৎ তারা দেখল, মাটিতে বীজ পড়লে চারা বের হয়, গাছ বড় হয়, ফুল ও ফল হয়। আর এই ফল খাওয়া যায়। এভাবে তারা প্রথম প্রযুক্তি হিসেবে কৃষি উদ্ভাবন করল। অর্থাৎ তারা ফসল উৎপাদন শুরু করল। এরপর তারা বনের পশুদেরও পোষ মানিয়ে গৃহে পালনের কৌশল লাভ করল। এতে বোঝা গেল, ফসল উৎপাদন ও পশু পালন কৃষির আদি প্রযুক্তি।
তুমি কী মনে কর কৃষি প্রযুক্তিগুলাে ব্যবহার করে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন সম্ভব?
আদি মানুষেরা ফসল উৎপাদন কীভাবে করত? এ জন্য আদি মানুষেরা চোখা কাঠি দিয়ে অল্প জায়গায় খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মাটি আলগা করে ফসল ফলাত। তখন এই চোখা কাঠিই ছিল জমি চাষের উপযুক্ত প্রযুক্তি। চোখা কাঠির অল্প জমি চাষে যে ফসল ফলে তাতে মানুষের খাবারের চাহিদা পূরণ করতে পারতো না। প্রয়োজন হলো এমন এক প্রযুক্তি, যা দ্বারা অধিক জমি চাষ করা যায়। মানুষ গভীরভাবে চিন্তা করতে লাগল। চিন্তার ফসল হিসাবে উদ্ভাবন হলো কাঠের লাঙল, লোহার লাঙল, পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর ইত্যাদি।
কৃষি সমস্যা সমাধানের জন্য গবেষণালদ্ধ জ্ঞান ও কলাকৌশলকে কৃষি প্রযুক্তি বলা হয় । কৃষি প্রযুক্তির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো
- ১. এর মধ্যে নতুনত্ব থাকবে ;
- ২. কৃষিকাজ সহজ করবে ;
- ৩. অধিক উৎপাদনের নিশ্চয়তা থাকবে;
- ৪. খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি হবে এবং সময় কম লাগবে।
২. কৃষি প্রযুক্তির বিষয়গুলো
কৃষি এখন শুধু ফসল উৎপাদনের ব্যাপার নয়। শুধু পশু-পাখি পালনও নয়। কয়েকটি উৎপাদন ক্ষেত্র নিয়ে কৃষির বিকাশ ঘটেছে । তেমনি প্রত্যেকটি উৎপাদন ক্ষেত্রের প্রযুক্তিও বিকাশ লাভ করেছে । ফসল উৎপাদন, পশু-পাখি পালন, মৎস্য চাষ, বনায়ন এসব বিষয় নিয়েই কৃষি। কৃষির উন্নয়ন অর্থই হচ্ছে এসব বিষয়ের সঠিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সঠিক ব্যবহার। অতএব নিচের ছকে কৃষির বিষয়ভিত্তিক কলাকৌশল বা প্রযুক্তির পরিচয় দেওয়া হলোঃ
- ১.ফসল উৎপাদন,
- ২.গৃহপালিত প্রাণী পালন,
- ৩.মৎস্য চাষ,
- ৪.বনায়ন।
৩. বিষয়ভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তিগুলোর তালিকা
৪. জমি চাষ না করে শূন্য চাষ পদ্ধতিতে দানা জাতীয় ফসল চাষ করা যায়।
শূন্য চাষে ভুট্টা চাষঃ যেমন জমি চাষ না করে ভুট্টা চাষ করা যায়। বর্ষার পানি নেমে গেলে জমি কাদাময় থাকে। সেই জমিতে ভুট্টার বীজ রোপণ করলে ভালো ফলন হয়। এতে অর্থ আয় হয় এবং শ্রম কম লাগে।
৫. বিদ্যুৎবিহীন গ্রামীণ পরিবেশে একজন কৃষক মাটির হাঁড়িতে ডিম সংরক্ষণ করবে।
মাটির হাড়িতে ডিম সংরক্ষনঃসাধারণত ডিম ৫-১০ দিনের বেশি ভালো থাকেনা। ঘরের মেঝেতে গর্ত করে সেই গর্তে হাঁড়ি বসিয়ে ডিম রাখা হয়। গর্তে হাঁড়ির চারদিকে কাঠ-কয়লা রেখে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে ডিম ঠান্ডা থাকে এবং ২০-২৫ দিন ডিম ভালো থাকে।
৬. বন্যা মৌসুমে হাওর এলাকায় আমি খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করব।
খাঁচায় মাছ চাষ
দেশের জনসংখ্যা বাড়ার কারণে মাছের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ কমে যাচ্ছে। মাছের চাহিদা পূরণের জন্য মৎস্য বিশেষজ্ঞরা মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেক পরামর্শের মধ্যে খাঁচায় মাছের চাষ একটি। বর্তমানে মুক্ত জলাশয়ে খাঁচায় মাছ চাষের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। খাঁচায় মাছের চাষ আমাদের দেশে নতুন হলেও উত্তর আমেরিকায় অনেক আগে থেকেই এর ব্যবহার চলে এসেছে। ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশেও এর প্রচলন আছে । বাংলাদেশে খাঁচায় মাছ চাষ মৎস্য বিশেষজ্ঞদের একটি অনুমোদিত প্রযুক্তি। যেসব এলাকায় নদী-নালা, হাওর, খাল-বিল আছে সেসব এলাকার কৃষকেরা এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে পারেন। নদীতে বা বিলে বা যে কোনো উন্মুক্ত জলাশয়ে খাঁচা বানিয়ে পুকুরের আকার দেওয়া যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, খাঁচায় মাছের চাষ করে একদিকে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানো যায়, অপরদিকে এই মাছ বাজারে বিক্রি করে অর্থ লাভ করা যায়।খাঁচা তৈরির প্রথমেই চারদিকে চারটি খুঁটি দিয়ে এবং আড়াআড়ি বাঁশ বেঁধে খাঁচার আয়তাকার কাঠামো তৈরি করা হয় । এরপর খাঁচার কাঠামোর চারদিকে এবং উপরে-নিচে জাল দ্বারা আবৃত করে খাচা তৈরি করা হয় । পরে খাঁচাটি তুলে নদীতে বা হাওরে নিয়ে মাটিতে শক্ত করে বাঁশের খুঁটি পুঁতে এর সাথে বেঁধে দিতে হয়। খাঁচার উপরের দিকে মাছের খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়। খাঁচা ছোট, মাঝারি ও বড় হতে পারে।
তুমি কী মনে কর কৃষি প্রযুক্তিগুলাে ব্যবহার করে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন সম্ভব?
ছোট আকারের খাঁচার মাপ হচ্ছে দৈর্ঘ্য ৩ মিটার, প্রস্থ ২ মিটার এবং গভীরতা ২ মিটার। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মাছ চাষের জন্য খাঁচার আকার এর চেয়েও দ্বিগুণ বা তিনগুণ আকারের হতে পারে । মাছের খাঁচা যে শুধু আয়তাকার হবে তা নয়। আবার গোলাকারও হতে পারে।খাঁচায় মাছের চাষ হলো নিবিড় চাষ। এ জন্য সুষম খাদ্য অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশে খাঁচায় তেলাপিয়া, নাইলোটিকা ও কার্প জাতীয় মাছ চাষ করা যায়। খাঁচা বড় হলে পাঙ্গাস মাছও চাষ করা যায়।
তবে এদের মাঝে তেলাপিয়ার চাষ লাভজনক। তেলাপিয়া চাষ করতে হলে প্রতি ১ ঘনমিটার খাঁচায় ২০০-৩০০ পোনা ছাড়তে হবে। গমের ভুসি ও ফিশমিল যথাক্রমে ৮৫% ও ১৫% হারে মিশিয়ে মাছকে খাদ্য হিসাবে দিতে হবে । প্রতিদিন খাদ্যের পরিমাণ থাকবে মাছের দেহের ওজনের ৬-৭%। খাঁচার তলার সবটুকু অংশ পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে তাতে খাদ্য দিতে হবে। খাঁচার জাল পলি ও শেওলায় ভর্তি হয়ে যেতে পারে। এমন হলে যথাসময়ে ব্রাশ বা বাঁশের শলার ঝাঁটা দিয়ে জাল পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি ৩ মাস অন্তর একটি ১ ঘন মিটার খাঁচা হতে ২০ কেজি তেলাপিয়া উৎপাদন করা সম্ভব।
৭. আমি গবাদিপশুর একটি ফার্ম করতে চাইলে শীত মৌসুমে পশুগুলোর জন্য সাইলেজ পদ্ধতিতে ঘাস সংরক্ষণ করে কাঁচা ঘাসের অভাব পূরণ করবো।
শীতকালে অনেক স্থানেই ঘাসের অভাব দেখা যায়। বর্ষাকালে যখন ঘাস প্রচুর জন্মে, তখনই শুকনা মৌসুমের জন্য গো-খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হয়। এ জন্য কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কাঁচা ঘাসের গুরুত্ব অনেক। শীতকালে অনেক স্থানেই ঘাসের অভাব দেখা দেয়। তখন পশুকে মানসম্মত খাবার প্রদান কষ্টকর হয়। তাই বর্ষাকালে কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ করে গবাদি পশুর খাদ্যের অভাব পূরণ করা যায়।
সাইলেজের গুণাগুণ কাঁচা ঘাসের মতো। কাঁচা ঘাসের গুণসম্পন্ন সাইলেজে গবাদি পশুর দুধ উৎপাদন বাড়ে।
কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ পদ্ধতিকে সাইলেজ বলা হয়। এতে ঘাসের পুষ্টিমানের কোনো পরিবর্তন হয় না। যে নির্দিষ্ট স্থানে বা গর্তে ঘাস সংরক্ষণ করা হয়, তাকে বলা হয় সাইলোপিট। সাইলোপিটে বায়ুরোধক অবস্থা তৈরি করতে হয়। বায়ুরোধক অবস্থায় ঘাসে ল্যাকটিক এসিড তৈরি হয়। এই ল্যাকটিক এসিড কাঁচা ঘাস সংরক্ষণে কাজ করে।
সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি আলোচনা করা হলো –
- কাঁচা ঘাস সংরক্ষণের জন্য প্রথমেই শুকনা ও উঁচু জায়গা নির্ধারণ করতে হবে।
- নির্ধারিত স্থানে এক মিটার গভীর, এক মিটার প্রস্থ এবং এক মিটার দৈর্ঘ্যের একটি গর্ত তৈরি করতে হবে।
- ১ ঘনমিটার একটি গর্তে প্রায় ৭০০ কেজি কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ করা যায়।
- কাঁচা ঘাসের শতকরা ৩-৪ ভাগ চিটাগুড় একটি চাড়িতে নিতে হবে।
- এরপর চিটাগুড় এর সাথে সমপরিমাণ পানি মিশাতে হবে।
- গর্তের তলায় পলিথিন বিছালে ভালো হয়। পলিথিন না বিছালে পুরু করে খড় বিছাতে হবে এবং চারপাশে ঘাস সাজানোর সাথে সাথে ঘরের আস্তরন দিতে হবে।
- এরপর ধাপে ধাপে ৭০০ কেজি কাঁচা ঘাস দিয়ে ২০-৩০ কেজি শুকনা খড় দিতে হবে।
- প্রতিটি ধাপে ১৫ থেকে ২০ কেজি চিটাগুড়-পানির মিশ্রণ সমভাবে ছিটাতে হবে।
- এভাবে ধাপে ধাপে ঘাস ও খড় বিছিয়ে ভালোভাবে পা দিয়ে পাড়াতে হবে, যাতে বাতাস বেরিয়ে যায়।
- ঘাস সাজানো শেষ হলে খড়ের আস্তরন দিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
- সর্বশেষে পলিথিনের উপর ৭.৫- ১০ সেন্টিমিটার মাটি পুরু করে দিতে হবে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কৃষি প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করে বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়ন সম্ভব।
এটিই তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১৪তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট কৃষি শিক্ষা এর সমাধান- তুমি কী মনে কর কৃষি প্রযুক্তিগুলাে ব্যবহার করে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন সম্ভব?
আরো দেখুন-
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।